তাহলে কি মোদীর রামরাজ্য গঠন বা অখণ্ড ভারত গঠনের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু হল?
পেহেলগ্রামে আক্রমণ নিয়ে মোদী বৈশ্বিক মিডিয়াতে বিতর্কিত হয়েছিলেন।
সেই বিতর্ককে অতিক্রম করে পেহেলগ্রাম ইস্যুকে জাস্টিফাই করতেই কি এই অভিযানের নামকরণ করা হল ‘অপারেশন সিঁদুর’?
এর লক্ষ্যবস্তু ছিল পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরে আক্রমণ সহ পাকিস্তানের ভেতরেও এলাকা।
বিজেপির নিজস্ব একটি আইন রয়েছে, ৭৫ বছর অতিক্রম করলেই নেতাকে অবসর নিতে হবে। মোদীর ৭৫ বছর আসন্ন। সেই নিয়ম পরিবর্তন করতে পারছেন না, কারণ RSS তার বিপক্ষে। বিজেপি বনাম RSS এর অন্ত:কোন্দল বহুবারই প্রকাশিত হয়েছে।
মোদী নিজেকে ৭৫ বছরেও গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ করতে এবং ভারতের ধর্মীয় রাজনীতিতে নিজের প্রভাব ধরে রাখতে পাকিস্তানের উপর চড়াও হন। পেহেলগ্রামের আক্রমণটিও অনেকের মতে বিতর্কিত। অনেকেই বলছেন, এই ঘটনা সাজানো।
এতে করে বিতর্কিত হতে শুরু করেন মোদী এবং ভারতের গোদী মিডিয়া। এই ঘটনার আগে ভারত সিন্ধু নদীর পানি সঞ্চালন বন্ধের হুমকিও দিয়েছিল।
ভারত এবং পাকিস্তান—দুই দেশের শক্তিমত্তা নিয়ে বিতর্ক চলে আসছে বহুদিন। সামরিক শক্তিতে ভারতের আকার বড় হলেও, পারমাণবিক শক্তিতে পাকিস্তান এগিয়ে।
ভূরাজনৈতিক ইস্যুতেও পাকিস্তানের সাথে রয়েছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন। অন্যদিকে, ভারতের পাশে স্পষ্টভাবে এখনো কোনো অবস্থান নেয়নি আমেরিকা।
ভারতের আক্রমণের পর পাকিস্তান পাল্টা আক্রমণ শুরু করে এবং তাদের এই মিশনের নাম দেয় ‘অপারেশন সোহাগ রাত’।
পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারত সাধারণ জনগণ এবং মসজিদকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, এতে ৭০ জন মারা যায়।
পক্ষান্তরে, পাকিস্তান ভারতের কোনো এয়ারক্রাফটকে তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে দেয়নি।
শ্রীনগর ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারে আক্রমণ চালিয়ে তিনজন ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করার খবরও নিশ্চিত হয়েছে।
চীন, তুরস্কসহ গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলো পাকিস্তানের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে কূটনৈতিক ভাষায়।
সর্বশেষ, চীন পাকিস্তানের পক্ষে দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতের পক্ষে এখনো আমেরিকা কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
বর্তমান পরিস্থিতি শুধু ভারত-পাকিস্তান নয়, বরং এশিয়ার সামগ্রিক নিরাপত্তার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। যুদ্ধের উত্তাপ কমানোর জন্য আন্তর্জাতিক মহলের ভূমিকা এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


