Homeবিশ্ব রাজনীতিকেন এই অআফগানের ভোলবদল?

কেন এই অআফগানের ভোলবদল?

Date:

দিল্লির মাটিতে দাঁড়িয়েই পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি! যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ছুড়ে দেওয়া তীক্ষ্ণ বার্তা! আর ভারতের সাথে বন্ধুত্বের নতুন অধ্যায়!

    এ কোনো সিনেমার দৃশ্য নয়, একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে নাটকীয় ভূ-রাজনৈতিক খেলার বাস্তব চিত্র। আফগানিস্তানের তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি, যার ওপর জাতিসংঘের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তিনি এখন ভারতের রাষ্ট্রীয় অতিথি।

    ভাবা যায়? যে তালেবানকে ভারত একসময় এড়িয়ে চলতো, আজ তাদের সাথেই চলছে গভীর সখ্যতা।

    কিন্তু কেন এই ভোলবদল?

    দিল্লির আফগান দূতাবাসে বসে মুত্তাকি যখন বলেন, “আফগানদের সাহস পরীক্ষা করার কথা যেন কেউ না ভাবে… সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র আর ন্যাটোকে জিজ্ঞাসা করুন, আফগানিস্তানের সাথে খেললে কী হয়,” তখন তার আসল লক্ষ্য কে?

    তার আঙুল সরাসরি পাকিস্তানের দিকে। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আফগানিস্তানের মাটিতে বিদেশি শক্তির খবরদারি আর চলবে না। এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাগরাম বিমান ঘাঁটি ফিরে পাওয়ার স্বপ্নকেও তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন এক ফুঁৎকারে।

    ভারতের মাটিতে বসে তালেবানের এই হুঙ্কার আসলে নয়াদিল্লিরই একটি মাস্টারস্ট্রোক। যে পাকিস্তানকে শায়েস্তা করতে ভারত এতদিন বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে, সেই কাজটাই এখন করে দিচ্ছে তালেবান—বিনা খরচে।

    পাকিস্তান এখন উভয় সংকটে; ঘরের শত্রু আর সীমান্তের শত্রু—দুজনই এখন তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

    ভারতও অবশ্য বসে নেই। কাবুলে নিজেদের দূতাবাস পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছে, পাঠাচ্ছে ২০টি অ্যাম্বুলেন্স, দিচ্ছে খাদ্য সহায়তা। কিন্তু এই বন্ধুত্বের আড়ালে আসল খেলাটা কী?

    তালেবান যখন দাবি করে, তাদের দেশে “শান্তি” আছে এবং “সবার অধিকার” সংরক্ষিত, তখন কি তারা নারী অধিকারের নির্মম বাস্তবতাকে আড়াল করতে চাইছে?

    ভারত কি তালেবানের এই “প্রোপাগান্ডা” মেনে নিয়েই নিজেদের কৌশলগত স্বার্থ হাসিল করছে?

    মুত্তাকি বলেছেন, “ভারত আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।” কিন্তু এই বন্ধুত্বের ভবিষ্যৎ কী? তালেবানের মূল এজেন্ডা হলো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়, যা ভারত এখনো দেয়নি।

    কিন্তু দিল্লির মাটিতে দাঁড়িয়ে তালেবানের এই বক্তব্য প্রমাণ করে, খেলাটা আর আগের মতো নেই।

    ভারত এক বিপজ্জনক জুয়া খেলছে, যেখানে চাল ভুল হলেই পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় আগুন জ্বলে উঠতে পারে।

    প্রশ্ন হলো, এই খেলায় কে জিতবে আর কে হারবে? উত্তরটা এখনো ভবিষ্যতের গর্ভে।

    আরও পড়ুন

    সাম্প্রতিক